অগ্রদ্বীপ এক নতুন চেহারা নিয়েছে..
Agradwip is a village rich in history and culture, famous for its mythological ties to Gobinda Ghosh, who started the renowned "Agradwip'er Mela" by the Bhagirathi River. It is also known for Ganga Kishor Bhattachariya, who established the first press during the British era. Shri Pragyadas Kathia Babaji had spread peace and nonviolence through his Natun Gram Ashram across India. Stay connected for more about our beloved Agradwip. Keep visiting!
Saturday, May 21, 2022
Tuesday, April 19, 2022
অগ্রদ্বীপের গোপীনাথের মেলা | Agradwip Gopinath Mela 2022 | অগ্রদ্বীপের গোপীনাথ মেলার ইতিহাস
কখনও দেখেছেন স্বয়ং দেবতা ভক্তের শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান করছেন কাছা পড়ে? ভক্তের পিন্ড দান করছেন?
পূর্ব বর্ধমান জেলার ছোট্ট একটি গ্রাম অগ্রদ্বীপ। এখানে যেমন রয়েছে কাষ্ঠ শিল্পের জন্য বিখ্যাত নতুনগ্রাম, রয়েছে শ্রী শ্রী ১০৮ প্রজ্ঞাদাসজি কাঠিয়া বাবার আশ্রম, তেমনই আবার সাধক গোবিন্দ ঘোষ আর তাঁর আরাধ্য দেবতা গোপিনাথের জন্য অগ্রদ্বীপ বিখ্যাত। অগ্রদ্বীপে আসতে
হাওড়া থেকে কাটোয়া লোকালে উঠলেই হবে, নবদ্বীপ থেকে ট্রেনে আধা ঘণ্টা লাগে। প্রতি বছর চৈত্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী তিথিতে এখানে মেলা বসে। বাংলাদেশ, ত্রিপুরা, আসাম, বিহার সহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতি বছর প্রায় আট লক্ষ ভক্তের সমাগম হয় এই অগ্রদ্বীপের মেলার সময়।
গোবিন্দ ঘোষ ছিলেন শ্রীচৈতন্যের একনিষ্ঠ ভক্ত। সন্নাস গ্রহণের পর একদিন শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু অগ্রদ্বীপে আসেন এবং খাওয়ার পর মহাপ্রভু হাত বাড়িয়ে দিলেন মুখশুদ্ধির জন্য, গোবিন্দ ঘোষ লোকের বাড়ি থেকে হরিতকি চেয়ে নিয়ে এসে মহাপ্রভুর হাতে তুলে দেন, পরের দিন আবার যথারীতি দুপুরে খাওয়ার পর মহাপ্রভু হাত বাড়িয়ে দিলেন মুখশুদ্ধির জন্য, হরিতকি মিলল তৎক্ষণাৎ কারণ গোবিন্দ আগের দিনের হরিতকি থেকে কিছুটা সঞ্চয় করে রেখেছিলেন। মহাপ্রভু তখন সঞ্চয়বৃত্তি দেখে তাকে বলেন অগ্রদ্বীপেই গোপীনাথের পূজার ভার নিতে। শ্রী চৈতন্যদেবের আজ্ঞা মত গোবিন্দ ঘোষ অগ্রদ্বীপে গোপীনাথের দৈনন্দিন পূজার দায়িত্ব নেন।
এরপর স্ত্রী ও শিশুপুত্রের মৃত্যুর পরে শোকে পাগলের মতো অবস্থা হয়েছিল গোবিন্দ ঘোষের। এক সময় আত্মহত্যার চেষ্টাও করেন। তখন গোপীনাথ তাঁকে স্বপ্নে দেখা দেন। তিনিই পুত্র হিসেবে গোবিন্দ ঘোষের শ্রাদ্ধ করবেন বলে তাঁকে আশ্বাস দেন। সেই কথা মেনে গোবিন্দ ঘোষের মৃত্যুর পরে তাঁর শ্রাদ্ধ করেন গোপীনাথ। অনেকে বলেন, একমাত্র এখানেই নাকি ভগবান ভক্তের শ্রাদ্ধ করেন। সেই প্রথা এখনও চলে আসছে।
প্রায় ৪০০ বছর ধরে এই মেলা ধারাবাহিক ভাবে চলে আসছে। আগে অগ্রদ্বীপের খ্যাতি ছিল ছিল বারুণীর স্নান উৎসবের জন্যই। দিগ্বিজয়প্রকাশে লেখা আছে যে বারুণীতে অগ্রদ্বীপে গঙ্গা-স্নান করলে বারাণসীতে গঙ্গা-স্নানের সমান পুণ্য লাভ হয়। কথিত আছে, এখানকার ফল মাহাত্মের জন্য রাজা বিক্রমাদিত্য এখানে গঙ্গাস্নান করতে আসতেন। আর সেসময় অগ্রদ্বীপের মেলা গঙ্গাসাগরের মেলার থেকেও বেশী জনপ্রিয় ছিল।
জয় বাবা গোপীনাথ 🙏🙏🙏🙏🙏
Subscribe to:
Posts (Atom)